Toggle navigation
লেখক তালিকা
বিভাগ
জনপ্রিয় বাণী
সর্বশেষ সংযোজিত
যোগাযোগ করুন
বাণী চিরন্তণীঃ বাণী তালিকা
প্রকৃতি
মুসা ইব্রাহীম: কিছু ভিডু থাক না গুপন
-
মতিকণ্ঠ
প্রকৃতি
নির্মল বিনোদন
আঠারো তলা টাওয়ারের থেকে শিশিরবিন্দু অনেক উঁচু। চিরকাল শিশিরবিন্দুর পাদদেশে দাঁড়িয়ে আছি, কিন্তু অনেক টাওয়ারের চুড়োয় উঠেছি।
-
হুমায়ূন আজাদ
প্রকৃতি
প্রকৃতিপ্রেম
পশু আর পাখিরাই মানবিক
-
হুমায়ূন আজাদ
প্রকৃতি
গগনে কৃষ্ণ মেঘ দোলে – কিশোর কৃষ্ণ দোলে বৃন্দাবনে থির সৌদামিনী রাধিকা দোলে নবীন ঘনশ্যাম সনে; দোলে রাধা শ্যাম ঝুলন-দোলায় দোলে আজি শাওনে
-
কাজী নজরুল ইসলাম
প্রকৃতি
প্রেম
যে সব মানুষের নাক সেনসেটিভ হয় তাদের কান কম সেনসেটিভ হয়। প্রকৃতি একটা বেশী দিলে অন্যটা কমিয়ে দেয়।
-
হুমায়ূন আহমেদ
মানুষ
প্রকৃতি
প্রকৃতি মাঝে মাঝে মানুষকে এমন বিপদে ফেলে। চোখে পানি আসার সিস্টেম না থাকলে জীবন যাপন হয়তো সহজ হতো।
-
হুমায়ূন আহমেদ
প্রকৃতি
জীবন
কোথায় চলেছো? এদিকে এসো না! দুটো কথা শোনা দিকি এই নাও- এই চকচকে ছোটো, নুতন রূপোর সিকি ছোকানুর কাছে দুটো আনি আছে, তোমারে দেবো গো তা-ও, আমাদের যদি তোমার সঙ্গে নৌকায় তুলে নাও
-
বুদ্ধদেব বসু
প্রকৃতি
নদী
প্রকৃতিপ্রেম
নৌকা তোমার ঘাটে বাঁধা আছে- যাবে কি অনেক দূরে? পায়ে পড়ি, মাঝি, সাথে নিয়ে চলো মোরে আর ছোকানুরে আমারে চেনো না? মোর নাম খোকা, ছোকানু আমার বোন তোমার সঙ্গে বেড়াবো আমরা মেঘনা-পদ্মা-শোন
-
বুদ্ধদেব বসু
প্রকৃতি
নদী
প্রকৃতিপ্রেম
দিদি মোরে ডাকে গোবিন্দচাঁদ, মা ডাকে চাঁদের আলো, মাথা খাও, মাঝি, কথা রাখো! তুমি লক্ষী, মিষ্টি, ভালো! বাবা বলেছেন, বড় হয়ে আমি হব বাঙলার লাট, তখন তোমাকে দিয়ে দেব মোর ছেলেবেলাকার খাট
-
বুদ্ধদেব বসু
প্রকৃতি
নদী
প্রকৃতিপ্রেম
চুপি-চুপি বলি, ঘুমিয়ে আছে মা, দিদি গেছে ইস্কুলে, এই ফাঁকে মোরে-আর ছোকানুরে- নৌকোয়া লও তুলে। কোন ভয় নেই – বাবার বকুনি তোমাকে হবে না খেতে যত দোষ সব, আমার- না, আমি একা ল’ব মাথা পেতে
-
বুদ্ধদেব বসু
প্রকৃতি
নদী
প্রকৃতিপ্রেম
অনেক রঙের পাল আছে, মাঝি? বাদামী? সোনালী? লাল? সবুজও? তা হলে সেটা দাও আজ, সোনালীটা দিয়ো কাল। সবগুলো নদী দেখাবে কিন্তু। আগে চলো পদ্মায়, দুপুরের রোদে রূপো ঝলমল সাদা জল উছলায়
-
বুদ্ধদেব বসু
প্রকৃতি
নদী
প্রকৃতিপ্রেম
শুয়ে’ শুয়ে’ – মোরা দেখিব আকাশ- আকাশ ম-স্ত বড়, পৃথিবীর যত নীল রঙ- সব সেখানে করেছে জড়। মায়ের পূজোর ঘরটির মত, একটু ময়লা নাই, আকাশেরে কে যে ধোয় বারবার, তুমি কি জানো তা ভাই?
-
বুদ্ধদেব বসু
প্রকৃতি
নদী
প্রকৃতিপ্রেম
কালো-কালো পাখি বাঁকা ঝাঁক বেঁধে উড়ে চলে যায় দূরে, উঁচু থেকে ওরা দেখিতে কি পায় মোরে আর ছোকানুরে? রূপোর নদীতে রূপোর ইলিশ- চোখ ঝলসানো আঁশ, ওখানে দ্যাখো না- জালে বেঁধে জেলে তুলিয়াছে একরাশ
-
বুদ্ধদেব বসু
প্রকৃতি
নদী
প্রকৃতিপ্রেম
ওটা চর বুঝি? একটু রাখো না, এ তো ভারি সুন্দর। এ যেন নতুন কার্পেট বোনা! এই পদ্মার চর? ছোকানু, চল রে, চান ক’রে আসি দিয়ে সাত-শোটা ডুব, ঝাঁপায়ে-দাপায়ে টলটলে জলে নাইতে ফুর্তি খুব
-
বুদ্ধদেব বসু
প্রকৃতি
নদী
প্রকৃতিপ্রেম
ইলিশ কিনলে? আঃ, বেশ বে তুমি খুব ভালো, মাঝি উনুন ধরাও ছোকানু দেখাবে রান্নার কারসাজি। খাওয়া হ’লো শেষ- আবার চলেছি, দুলছে ছোট্ট নাও, হাল্কা নরম হাওয়ায় তোমার লাল পাল তুলে দাও
-
বুদ্ধদেব বসু
প্রকৃতি
নদী
প্রকৃতিপ্রেম
শুনতে-শুনতে আমিও ঘুমাই বিছানা বালিশ বিনা – মাঝি, তুমি দেখো ছোকানুরে, ভাই, ও বড়োই ভীতু কিনা আমার জন্য কিচ্ছু ভেবো না, আমিই তো বড়োই প্রায়, ঝড় এলে ডেকো আমারে- ছোকানু যেন সুখে ঘুম যায়
-
বুদ্ধদেব বসু
প্রকৃতি
প্রকৃতিপ্রেম
পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে; পৃথিবীর সব রূপ লেগে আছে ঘাসে; পৃথিবীর সব প্রেম আমাদের দু'জনার মনে; আকাশ ছড়ায়ে আছে শান্তি হয়ে আকাশে
-
জীবনানন্দ দাশ
প্রকৃতি
দেশ
প্রকৃতিপ্রেম
রূপসী বাংলা
জানি চরম সত্যের কাছে নত হতে হয় সবাইকে- জীবন সুন্দর আকাশ-বাতাস পাহাড়-সমুদ্র সবুজ বনানী ঘেরা প্রকৃতি সুন্দর আর সবচেয়ে সুন্দর এই বেঁচে থাকা তবুও কি আজীবন বেঁচে থাকা যায়!
-
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
দর্শন
প্রকৃতি
জীবন
প্রেম
ভালোবাসা
ভালোবাসি
বিদায়ের সেহনাই বাজে নিয়ে যাবার পালকি এসে দাঁড়ায় দুয়ারে সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে এই যে বেঁচে ছিলাম দীর্ঘশ্বাস নিয়ে যেতে হয় সবাইকে অজানা গন্তব্যে হঠাৎ ডেকে ওঠে নাম না জানা পাখি অজান্তেই চমকে ওঠি জীবন, ফুরালো নাকি! এমনি করে সবাই যাবে, যেতে হবে…
-
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
একাকিত্ব
সত্য
দর্শন
প্রত্যাশা
প্রকৃতিপ্রেম
অন্তর
প্রকৃতি
সৌন্দর্য
মৃত্যু
দুনিয়া
পৃথিবী
জীবন
জ্ঞান
দুঃখ
ভবিষ্যৎ
কষ্ট
কতোখানি ডাক শুনে ছুটে যায় এই মুগ্ধ মানুষ অভ্যন্তরে কতোখানি উৎসবে সব পথ ভেঙে একখানা পথ শুধু একখানা ঘর জেগে ওঠে মর্মের মর্মস্থলে
-
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
তুমি
মোহ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রেম
প্রকৃতি
প্রেমপত্র
ভালোবাসা দিবস
মানুষ
প্রেমিকা
মন
প্রেমিক
মায়া
ভালোবাসা
ভালোবাসি
প্রেরণা
আমরা হেঁটেছি যারা নির্জন খড়ের মাঠে পউষ সন্ধ্যায়, দেখেছি মাঠের পারে নরম নদীর নারী ছড়াতেছে ফুল কুয়াশার কবেকার পাড়াগার মেয়েদের মতো যেন হায় তারা সব আমরা দেখেছি যারা অন্ধকারে আকন্দ ধুন্দুল জোনাকিতে ভরে, গেছে; যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে
-
জীবনানন্দ দাশ
প্রত্যাশা
প্রকৃতিপ্রেম
প্রথা
প্রকৃতি
দেশ
অনুরাগ
প্রেমপত্র
ভালোবাসা দিবস
প্রেমিকা
দেশবাসী
প্রাপ্তি
প্রেমিক
দেশপ্রেম
প্রেম
ভালোবাসা
ভালোবাসি
প্রেরণা
আমরা বেসেছি যারা অন্ধকারে দীর্ঘ শীতরাত্রিটিরে ভালো, খড়ের চালের পরে শুনিয়াছি মুগ্ধ রাতে ডানার সঞ্চার; পুরোনা পেঁচার ঘ্রাণ — অন্ধকারে আবার সে কোথায় হারালো! বুঝেছি শীতের রাত অপরূপ — মাঠে মাঠে ডানা ভাসাবার গভীর আহ্লাদে ভরা; অশত্থের ডালে ডালে ডাকিয়াছে বক; আমরা বুঝেছি যারা জীবনের এই সব নিভৃত কুহক
-
জীবনানন্দ দাশ
দেশপ্রেম
প্রকৃতিপ্রেম
প্রত্যাশা
ভাষা
দেশ
অনুরাগ
প্রেমপত্র
ভালোবাসা দিবস
প্রেমিকা
প্রাপ্তি
প্রেমিক
প্রকৃতি
প্রেম
ভালোবাসা
ভালোবাসি
প্রেরণা
আমরা দেখেছি যারা বুনো হাঁস শিকারীর গুলির আঘাত এড়ায়ে উড়িয়া যায় দিগন্তের নম্্র নীল জোছনার ভিতরে, আমরা রেখেছি যারা ভালোবেসে ধানের গুচ্ছের পরে হাত, সন্ধ্যার কাকের মতো আকাঙক্ষায় আমরা ফিরেছি যারা ঘরে; শিশুর মুখের গন্ধ, ঘাস, রোদ, মাছরাঙা, নক্ষত্র, আকাশ আমরা পেয়েছি যারা ঘুরে — ফিরে ইহাদের চিহ্ন বারোমাস
-
জীবনানন্দ দাশ
দেশপ্রেম
প্রকৃতিপ্রেম
প্রত্যাশা
ভাষা
দেশ
প্রেমপত্র
ভালোবাসা দিবস
প্রেমিকা
প্রেমিক
প্রকৃতি
প্রেম
ভালোবাসা
ভালোবাসি
প্রেরণা
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হয়েছে হলুদ হিজলের জানালায় আলো আর বুলবুলি করিয়াছে খেলা, ইঁদুর শীতের রাতে রেশমের মতো রোমে মাখিয়াছে খুদ, চালের ধূসর গন্ধে তরঙ্গেরা রূপ হয়ে ঝরেছে দু — বেলা নির্জন মাছের চোখে — পুকুরের পাড়ে হাঁস সন্ধ্যার আঁধারে পেয়েছে ঘুমের ঘ্রাণ — মেয়েলি হাতের স্পর্শ লয়ে গেছে তারে
-
জীবনানন্দ দাশ
দেশপ্রেম
সন্ধ্যা
প্রত্যাশা
প্রকৃতিপ্রেম
দেশ
অনুরাগ
প্রেমপত্র
ভালোবাসা দিবস
প্রেমিকা
প্রেমিক
প্রকৃতি
প্রেম
ভালোবাসা
ভালোবাসি
প্রেরণা
মিনারের মতো মেঘ সোনালি চিলেরে তার জানালায় ডাকে, বেতের লতার নিচে চড়য়ের ডিম যেন শক্ত হয়ে আছে, নমর জলের গন্ধ দিয়ে নদী বারবার তীরটিরে মাখে, খড়ের চালের ছায়া গাঢ় রাতে জোছনার উঠানে পড়িয়াছে; বাতাসে ঝিঁঝির গন্ধ — বৈশাখের প্রান্তরের সবুজ বাতাসে; নীলাভ নোনার বুকে ঘর রস গাঢ় আকাঙক্ষায় নেমে আসে
-
জীবনানন্দ দাশ
দেশপ্রেম
সন্ধ্যা
প্রভেদ
প্রকৃতিপ্রেম
ভাষা
দেশ
প্রেমপত্র
ভালোবাসা দিবস
প্রেমিকা
দেশবাসী
প্রত্যাশা
প্রেমিক
প্রকৃতি
প্রেম
ভালোবাসা
ভালোবাসি
প্রেরণা
আমরা দেখেছি যারা নিবিড় বটের নিচে লাল লাল ফল পড়ে আছে; নির্জন মাঠের ভিড় মুখ দেখে নদীর ভিতরে; যত নীল আকাশেরা রয়ে গেছে খুঁজে ফেরে আরো নীল আকাশের তল; পথে পথে দেখিয়াছি মৃদু চোখ ছায়া ফেলে পৃথিবীর পরে আমরা দেখেছি যারা শুপুরির সারি বেয়ে সন্ধ্যা আসে রোজ, প্রতিদিন ভোর আসে ধানের গুচ্ছের মতো সবুজ সহজ
-
জীবনানন্দ দাশ
দেশপ্রেম
সন্ধ্যা
প্রভেদ
প্রকৃতিপ্রেম
ভাষা
দেশ
প্রেমপত্র
ভালোবাসা দিবস
প্রেমিকা
দেশবাসী
প্রত্যাশা
প্রেমিক
প্রকৃতি
প্রেম
ভালোবাসা
ভালোবাসি
প্রেরণা
আমরা বুঝেছি যারা বহু দিন মাস ঋতু শেষ হলে পর পৃথিবীর সেই কন্যা কাছে এসে অন্ধকারে নদীদের কথা কয়ে গেছে আমরা বুঝেছি যারা পথ ঘাট মাঠের ভিতর আরো এক আলো আছে: দেহে তার বিকাল বেলার ধুসরতা: চোখের — দেখার হাত ছেড়ে দিয়ে সেই আলো হয়ে আছে স্থির; পৃথিবীর কঙ্কাবতী ভেসে গিয়ে সেইখানে পায় ম্লান ধূপের শরীর
-
জীবনানন্দ দাশ
দেশপ্রেম
সন্ধ্যা
প্রকৃতিপ্রেম
প্রত্যাশা
ভাষা
দেশ
অনুরাগ
প্রেমপত্র
ভালোবাসা দিবস
প্রেমিকা
দেশবাসী
প্রেমিক
প্রকৃতি
প্রেম
ভালোবাসা
ভালোবাসি
প্রেরণা
আমরা মৃত্যুর আগে কী বুঝিতে চাই আর? জানি না কি আহা, সব রাঙা কামনার শিয়রে যে দেয়ালের মতো এসে জাগে ধূসর মৃত্যুর মুখ — একদিন পৃথিবীতে স্বপ্ন ছিল — সোনা ছিল যাহা নিরুত্তর শান্তি পায় — যেন কোন্ মায়াবীর প্রয়োজনে লাগে। কী বুঝিতে চাই আর? রৌদ্র নিভে গেলে পাখিপাখলির ডাক শুনি নি কি? প্রান্তরের কুয়াশায় দেখি নি কি উড়ে গেছে কাক
-
জীবনানন্দ দাশ
দেশপ্রেম
সন্ধ্যা
প্রকৃতিপ্রেম
প্রত্যাশা
ভাষা
দেশ
অনুরাগ
প্রেমপত্র
ভালোবাসা দিবস
প্রেমিকা
দেশবাসী
প্রেমিক
প্রকৃতি
প্রেম
ভালোবাসা
ভালোবাসি
প্রেরণা
হয় তো কেটেছে তার মায়া ও মমতাহীন সজল শৈশব অথবা গিয়েছে দিন এলোমেলো পরিচর্যাহীন এক রঙিন কৈশোর, নাকি সে আমার মত খুব ভালোবেসে পুড়েছে কপাল তার আকালের এই বাংলাদেশে। বোকা উদ্ভিদ তবে কি মানুষের কাছে প্রেম চেয়েছিলো? চেয়েছিলো আরো কিছু বেশি।
-
হেলাল হাফিজ
বাংলা
দেশ
দেশপ্রেম
প্রত্যাশা
প্রকৃতিপ্রেম
প্রণয়
কৃতজ্ঞ
প্রকৃতি
বাংলাদেশ
সোনার বাংলা
রূপসী বাংলা
কবিতা
মানুষ
দেশবাসী
আশা
প্রেমিক
শৈশব
আনন্দ
প্রেম
প্রগতিশীল
প্রেরণা
রমনী এক রকম অনাবশ্যক ইচ্ছা বিবর্ণ ঝাঁঝাঁলো সম্প্রতি নারী শুধু কাচের ছায়া, অপ্রতিবিম্ব কাচ, শুধুমাত্র কাচ
-
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
নারী
মোহ
অন্তর
প্রকৃতি
ইচ্ছে
ইচ্ছা
মায়া
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ। মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক॥
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বাঙালি
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
ধূসরপাংশুল মাঠ, ধেনুগণ যায় ঊর্ধ্বমুখে, ছুটে চলে চাষি। ত্বরিতে নামায় পাল নদীপথে ত্রস্ত তরী যত তীরপ্রান্তে আসি। পশ্চিমে বিচ্ছিন্ন মেঘে সায়াহ্নের পিঙ্গল আভাস রাঙাইছে আঁখি-- বিদ্যুৎ-বিদীর্ণ শূন্যে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে চলে যায় উৎকণ্ঠিত পাখি।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বাঙালি
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
বীণাতন্ত্রে হানো হানো খরতর ঝংকারঝঞ্ঝনা, তোলো উচ্চসুর। হৃদয় নির্দয়ঘাতে ঝর্ঝরিয়া ঝরিয়া পড়ুক প্রবল প্রচুর। ধাও গান, প্রাণভরা ঝড়ের মতন ঊর্ধ্ববেগে অনন্ত আকাশে। উড়ে যাক, দূরে যাক বিবর্ণ বিশীর্ণ জীর্ণ পাতা বিপুল নিশ্বাসে।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
আনন্দে আতঙ্ক মিশি, ক্রন্দনে উল্লাসে গরজিয়া মত্ত হাহারবে ঝঞ্ঝার মঞ্জীর বাঁধি উন্মাদিনী কালবৈশাখীর নৃত্য হোক তবে। ছন্দে ছন্দে পদে পদে অঞ্চলের আবর্ত-আঘাতে উড়ে হোক ক্ষয় ধূলিসম তৃণসম পুরাতন বৎসরের যত নিষ্ফল সঞ্চয়।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
মুক্ত করি দিনু দ্বার-- আকাশের যত বৃষ্টিঝড় আয় মোর বুকে, শঙ্খের মতন তুলি একটি ফুৎকার হানি দাও হৃদয়ের মুখে। বিজয়গর্জনস্বনে অভ্রভেদ করিয়া উঠুক মঙ্গলনির্ঘোষ, জাগায়ে জাগ্রত চিত্তে মুনিসম উলঙ্গ নির্মল কঠিন সন্তোষ।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
সে পূর্ণ উদাত্ত ধ্বনি বেদগাথা সামমন্ত্রসম সরল গম্ভীর সমস্ত অন্তর হতে মুহূর্তে অখণ্ডমূর্তি ধরি হউক বাহির। নাহি তাহে দুঃখসুখ পুরাতন তাপ-পরিতাপ, কম্প লজ্জা ভয়-- শুধু তাহা সদ্যঃস্নাত ঋজু শুভ্র মুক্ত জীবনের জয়ধ্বনিময়।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
হে নূতন, এসো তুমি সম্পূর্ণ গগন পূর্ণ করি পুঞ্জ পুঞ্জ রূপে-- ব্যাপ্ত করি, লুপ্ত করি, স্তরে স্তরে স্তবকে স্তবকে ঘনঘোরস্তূপে। কোথা হতে আচম্বিতে মুহূর্তেকে দিক্ দিগন্তর করি অন্তরাল স্নিগ্ধ কৃষ্ণ ভয়ংকর তোমার সঘন অন্ধকারে রহো ক্ষণকাল।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
তোমার ইঙ্গিত যেন ঘনগূঢ় ভ্রূকুটির তলে বিদ্যুতে প্রকাশে, তোমার সংগীত যেন গগনের শত ছিদ্রমুখে বায়ুগর্জে আসে, তোমার বর্ষণ যেন পিপাসারে তীব্র তীক্ষ্ণ বেগে বিদ্ধ করি হানে-- তোমার প্রশান্তি যেন সুপ্ত শ্যাম ব্যাপ্ত সুগম্ভীর স্তব্ধ রাত্রি আনে।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
এবার আস নি তুমি বসন্তের আবেশ হিল্লোলে পুষ্পদল চুমি, এবার আস নি তুমি মর্মরিত কূজনে গুঞ্জনে-- ধন্য ধন্য তুমি! রথচক্র ঘর্ঘরিয়া এসেছ বিজয়ীরাজ-সম গর্বিত নির্ভয়-- বজ্রমন্ত্রে কী ঘোষিলে বুঝিলাম, নাহি বুঝিলাম, জয় তব জয়!
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
হে দুর্দম, হে নিশ্চিত, হে নূতন, নিষ্ঠুর নূতন, সহজ প্রবল, জীর্ণ পুষ্পদল যথা ধ্বংস ভ্রংশ করি চতুর্দিকে বাহিরায় ফল, পুরাতন পর্ণপুট দীর্ণ করি বিকীর্ণ করিয়া অপূর্ব আকারে তেমনি সবলে তুমি পরিপূর্ণ হয়েছ প্রকাশ-- প্রণমি তোমারে।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
তোমারে প্রণমি আমি, হে ভীষণ, সুস্নিগ্ধ শ্যামল, অক্লান্ত অম্লান'। সদ্যোজাত মহাবীর, কী এনেছ করিয়া বহন কিছু নাহি জান। উড়েছে তোমার ধ্বজা মেঘরন্ধ্রচ্যুত তপনের জলদর্চিরেখা-- করজোড়ে চেয়ে আছি উর্ধ্বমুখে, পড়িতে জানি না কী তাহাতে লেখা।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
হে কুমার, হাস্যমুখে তোমার ধনুকে দাও টান ঝনন রনন, বক্ষের পঞ্জর ভেদি অন্তরেতে হউক কম্পিত সুতীব্র স্বনন। হে কিশোর, তুলে লও তোমার উদার জয়ভেরী, করহ আহ্বান। আমরা দাঁড়াব উঠি, আমরা ছুটিয়া বাহিরিব, অর্পিব পরান।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
চাব না পশ্চাতে মোরা, মানিব না বন্ধন ক্রন্দন, হেরিব না দিক-- গনিব না দিন ক্ষণ, করিব না বিতর্ক বিচার উদ্দাম পথিক। মুহূর্তে করিব পান মৃত্যুর ফেনিল উন্মত্ততা উপকণ্ঠ ভরি-- খিন্ন শীর্ণ জীবনের শত লক্ষ ধিক্কারলাঞ্ছনা উৎসর্জন করি।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
শুধু দিনযাপনের শুধু প্রাণধারণের গ্লানি শরমের ডালি, নিশি নিশি রুদ্ধ ঘরে ক্ষুদ্রশিখা স্তিমিত দীপের ধূমাঙ্কিত কালি, লাভ-ক্ষতি-টানাটানি, অতি ক্ষুদ্র ভগ্ন-অংশ-ভাগ, কলহ সংশয়-- সহে না সহে না আর জীবনেরে খণ্ড খণ্ড করি দণ্ডে দণ্ডে ক্ষয়।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
যে পথে অনন্ত লোক চলিয়াছে ভীষণ নীরবে সে পথপ্রান্তের এক পার্শ্বে রাখো মোরে, নিরখির বিরাট স্বরূপ যুগযুগান্তের। শ্যেনসম অকস্মাৎ ছিন্ন করি ঊর্ধ্বে লয়ে যাও পঙ্ককুণ্ড হতে, মহান মৃত্যুর সাথে মুখামুখি করে দাও মোরে বজ্রের আলোতে।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
তার পরে ফেলে দাও, চূর্ণ করো, যাহা ইচ্ছা তব-- ভগ্ন করো পাখা। যেখানে নিক্ষেপ কর হৃত পত্র, চ্যুত পুষ্পদল, ছিন্নভিন্ন শাখা, ক্ষণিক খেলনা তব, দয়াহীন তব দস্যুতার লুণ্ঠনাবশেষ, সেথা মোরে ফেলে দিয়ো অনন্ততমিস্র সেই বিস্মৃতির দেশ।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
নবাঙ্কুর ইক্ষুবনে এখনো ঝরিছে বৃষ্টিধারা বিশ্রামবিহীন, মেঘের অন্তর-পথে অন্ধকার হতে অন্ধকারে চলে গেল দিন। শান্ত ঝড়ে, ঝিল্লিরবে, ধরণীর স্নিগ্ধ গন্ধোচ্ছ্বাসে, মুক্ত বাতায়নে বৎসরের শেষ গান সাঙ্গ করি দিনু অঞ্জলিয়া নিশীথগগনে।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখ
প্রকৃতিপ্রেম
প্রকৃতি
সুপ্রভাত
নববর্ষ
বৈশাখ
সুখ
সুসময়
কেয়া পাতার তরী ভাসায় কমল -ঝিলে তরু-লতার শাখা সাজায় হরিৎ নীলে। ছিটিয়ে মেঠো জল খেলে সে অবিরল কাজলা দীঘির জলে ঢেউ তোলে আনমনে ভাসায় পদ্ম-পাতার থালিকা।।
-
কাজী নজরুল ইসলাম
মেঘ
প্রকৃতি
বৃষ্টি
বর্ষা
কদম
বরষা